Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলা প্রশাসনের পটভূমি

আক্কেলপুর উপজেলার আয়তন ১৩৯.৪৭ বর্গ কিলোমিটার। ২৪.৫১ এবং ২৫.০৩ ডিগ্রী উত্তর দ্রাঘিমা এবং ৮৮.৫৪ ও ৮৯.০৬ ডিগ্রি পূব   দ্রাঘিমার মধ্যে আক্কেলপুর উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে জয়পুরহাট সদর ও ক্ষেতলাল উপজেলা, পূবে  ক্ষেতলাল ও বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলা, দখিনে বগুড়া জেলার আদমদীঘি, পশ্চিমে নওগাঁ জেলার সদর ও বদলগাছি উপজেলা অবস্থিত। জেলা সদর হতে আক্কেলপুর মাত্র ১৮ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত।

 

আক্কেলপুর জয়পুরহাট জেলার একটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ উপজেলা। জনশ্রুতিতে যতদূর শোনা যায় এ এলাকায় আক্কেল কাজী নামক একজন সম্পদশালী ব্যক্তি বাস করতেন। তার নাম অনুসারে এ স্থানের নাম হয়েছে আক্কেলপুর। অন্যদিকে কথিত আছে যে, সাবেক “ইকুরকুরি”মৌজায় সপ্তদশ শতাব্দীতে হজরত শাহ মখদুম(রা:)নামক একজন ধর্মীয় সাধক সুদূর পারস্য থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য আসেন। তিনি অনুভব করেন যে এখানকার লোকজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান যার ইংরেজি শব্দ Intelligentএবং পারসিয়ান পরিভাষায় আক্কেলমান্দ নামে  খ্যাত। সুতরাং স্থানীয় পত্র পত্রিকা ও শ্রুতি হতে জানা যায় যে পারস্য শব্দ আক্কেলমান্দ হতেই আক্কেলপুর নামকরণ করা হয়েছে। আক্কেলপুর জয়পুরহাট   জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। বিগত স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের সাবেক বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার কিছু অংশ নিয়ে প্রথমে আক্কেলপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের  আওতায় উপজেলায় উন্নীত হয়।

 

বৃহত্তম বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার কিছু অংশ নিয়ে স্বাধীনতার পর বিগত ১৯৭২ সালে প্রথমে আক্কেলপুর থানা হিসাবে প্রকাশিত হয়। তখন আক্কেলপুর রেল গেটের নিকট স্থানীয় ব্যবসায়ী ফজর উদ্দিন আকন্দ সাহেবের ভাড়া বাসায় প্রথমে পুলিশ স্টেশন চালু হয়। পরবর্তীতে বিগত ১৯৮৪ সালে এরশাদ সরকারের আমলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসাবে আক্কেলপুর উপজেলায় উন্নীত হয়। সেই সময় তুলসীগঙ্গা নদীর পশ্চিম পাড় প্রায় ৯ একর জায়গা জুড়ে এর প্রশাসনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়। উল্লেখ্য ব্রিটিশ আমল থেকেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় আক্কেলপুর ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বিশেষ করে সবজির জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করে। সম্প্রতি দেশের সব চেয়ে বেশি পোলট্রি শিল্প আক্কেলপুর উপজেলায় গড়ে উঠেছে। দেশের রাজধানী সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সাথে আক্কেলপুরের চমৎকার রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। উপরন্তু বর্ষাকালে নদী পথে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন করা যায়। এ উপজেলার প্রতি বর্গ কিমি এ ৯০৪ জন লোক বাস করে।